বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার বেনাপোল পৌরসভা ও বেনাপোল ইউনিয়নের কয়েকটি মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর এর সম্মানিত মহাপরিচালক মোঃ আতাউর রহমান (অতিরিক্ত সচিব)।
শনিবার ২৯ জনুয়ারি বিকালে মোছাঃ জাহিদা খাতুনের উঠান বৈঠকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের ৬৪ জেলার ২য় ধাপ কেন্দ্র পরিদর্শনে মহাপরিচালক আতাউর রহমান বলেন, মৌলিক সাক্ষরতা” বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের শিক্ষার সুযোগ প্রদানসহ দেশ হতে নিরক্ষরতা দূরীকরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। ‘সবার জন্য শিক্ষা’ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে অঙ্গীকারাবদ্ধ । এছাড়া বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। যশোর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সহকারী পরিচালক মোঃ বজলুর রশিদ। অগ্রণী মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অনুপমা মিত্র। উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার দেবাশীষ সাহা। উপজেলা শিক্ষা অফিসার, রফিকুল ইসলাম। ৪ নং বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রহমান। বেনাপোল পৌরসভার সুপারভাইজার সৈয়দ রাশেদুজ্জামান। বেনাপোল ইউনিয়নের সুপারভাইজার সহ অন্যান্য সুপারভাইজারবৃন্দ।
কেন্দ্র পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক আতাউর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিয়মিত শিক্ষা কেন্দ্র চালু রাখার নির্দেশনা দেন। বর্তমান সরকার এই প্রকল্পের আওতায় এলাকার অনেক নিরক্ষর মানুষের উপকার হচ্ছে। আজকে অনেকেই নাম ঠিকানাসহ ছোটখাটো বিষয়গুলো মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পটি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করছে। বর্তমান সরকারের মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পটি একটি মহৎ উদ্যোগ।
উল্লেখ্য যে, অগ্রণী মহিলা উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানা যায় শার্শা উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়নে ও বেনাপোল পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৩০০টি শিক্ষা কেন্দ্র চালু রয়েছে। ৬০০ জন শিক্ষকবৃন্দ ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১৮০০০ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করছে।