বিশেষ প্রতিনিধি; খুলনার ডুমুরিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় পাওনাদারকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্ত্রী মেহেরুন নেছা বাদী হয়ে খুলনার আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম মাহমুদ জমির রেকর্ড করাসহ কাগজপত্র ঠিক করার জন্য একই এলাকার মৃত. করিম মোড়লের পুত্র হানেফ মোড়লের কাছে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু হানেফ মোড়ল রেকর্ড করাতে পারেননি। পরে দলিল এবং টাকা ফেরত চাইলে হানেফ মোড়ল দলিল এবং মাত্র ৫ হাজার টাকা রবিউল ইসলাম মাহমুদকে ফিরিয়ে দেন।
হানেফের কাছে ৪৫ হাজার টাকা পাওনা থাকে। বিভিন্ন সময়ে হানেফের কাছে উক্ত টাকা চাইতে গেলে মৃত. হানেফের পুত্র জাহাঙ্গীর মোড়ল, আব্দুল মোড়লেরপুত্র আলমগীর মোড়ল, মৃত. খালেকের পুত্র সিদ্দিক বিশ্বাস, ও আলী সানারপুত্র ছাত্তার সানার সহযোগিতায় রবিউল ইসলাম মাহমুদকে মারপিট সহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করত। একপর্যায়ে রবিউল ইসলাম মাহমুদের বোন নাছিমা বেগম হানেফের কাছে টাকা চাইতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে রবিউল প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে উল্লেখিত ব্যক্তিরা।
উক্ত বিষয় নিয়ে গত ০৬/১০/২১ তারিখে শালিস হয়। কিন্তু হানেফ গং টাকা কম দিতে চাওয়ায় মিমাংসা হয়নি। এর মধ্যে গত ৯/১০/২১ তারিখে একটি ধান ক্ষেত থেকে রবিউল ইসলাম মাহমুদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এর আগে গত ৮/১০/২১ তারিখে দা, দড়ি ও রান্নার জালানী নিয়ে কচুদাহ নিজস্ব বিলে যান। তিনি প্রায়ই ওই বিলের ঘেরের বাসায় দিয়ে রাতে থাকতেন। বিলের মটর পাহারা দিতেন।
নিহতের স্ত্রী মেহেরুন নেছা বলেন উল্লেখিত ব্যক্তিরা পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে রাতের আধারে কৌশলে হত্যা করে পার্শবর্তী ধান ক্ষেত্রে ফেলে রাখে। লাশের শরীরের দুই চোখ ফোলা, নাক ও গাল দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল, দাঁত ভাঙ্গা।
এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিলো। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেন। তিনি অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে খুলনা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নিহতের স্ত্রী মেহেরুন বলেন, আসামিরা জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন সময় আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বলেন কোর্টে মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।