ক্রীড়া ডেস্ক:
বিরাট কোহলি তার আগ্রাসী আচরণের জন্য আলোচিত এবং সমালোচিত। যদিও অধিনায়কত্ব হারানোর পর, নিজের বাজে ফর্মের সময় কাটিয়ে ওঠার পর আচরণে অনেক পরিবর্তন এনেছিলেন। কিন্তু চলতি আইপিএলে আবার দেখা গেল তার আগ্রাহী রূপ। সেটার জন্য জরিমানাও গুণেছেন তিনি। সেটার অঙ্ক ১.০৭ কোটি। বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৩৯ লাখ।
ঘটনাটি রোববার রাতের। এদিন আইপিএলে দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। লো স্কোরিং ম্যাচে বৃষ্টির পর ১৮ রানে জয় পায় বেঙ্গালুরু।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর লক্ষ্ণৌর মেন্টর গৌতম গাম্ভীরের সঙ্গে আগ্রাসী মেজাজে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায় কোহলিকে। এরপর উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আফগান পেসার নাভীন উল হক কিছু একটা বলার পর তার দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় কোহলিকে এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল না ফেরালে হাতাহাতিও হয়ে যেতে পারতো।
এই ঘটনায় তিনজনকেই জরিমানা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। বোর্ডের মতে তারা তিনজনই খেলার মর্যাদা নষ্ট করেছেন। ভেঙেছেন আইপিএলের আচরণবিধি।
আইপিএলের আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোহলি ও গাম্ভীর ২ ধারার অপরাধ করেছেন। যে কারণে তাদের দুজনের ম্যাচ ফি এর শতভাগ জরিমানা করা হয়। সে অনুযায়ী কোহলির ১.০৭ কোটি রূপি ও গাম্ভীরের ২৫ লাখ রূপি (প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়।
এদিকে আফগান পেসার নাভীন উল হককেও জরিমানা করা। আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদের ১ ধারার অপরাধ করায় তাকে ম্যাচ ফি-এর ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১.৭৯ লাখ রূপি (প্রায় আড়াই লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়।
তারা তিনজনই দোষ স্বীকার করে বিষয়টি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
রোববার রাতে বেঙ্গালুরু আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় লক্ষ্ণৌ।
এই জয়ে লক্ষ্ণৌর সমান ১০ পয়েন্ট হয়েছে বেঙ্গালুরুর। তবে পয়েন্ট টেবিলে লক্ষ্ণৌ আছে তৃতীয় স্থানে। আর কোহলি-ডু প্লেসিদের বেঙ্গালুরু আছে পঞ্চম স্থানে।