1. admin@dainikbangladeshtimes.com : rony :
April 30, 2025, 12:02 am

আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘরে ঘরে ভিডিও গেমের দৌরাত্ম্যে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐহিত্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা

এম এম নুর আলম
  • Update Time : Friday, November 3, 2023,
  • 31 Time View

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে মহাকালের পাতা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য অজপাড়াগাঁয়ের কন্যা শিশুদের বউ-পুতুল, কিশোরদের চিরচেনা কাবাডি, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, কানামাছিসহ অসংখ্য খেলা। এসব খেলাধুলা একসময় আমাদের গ্রাামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘরে ঘরে ভিডিও গেমের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী খেলাধুলা। শৈশবে যেসব খেলাধুলায় দিন কাটিয়েছেন আজকের বয়োবৃদ্ধরা, তারাও এখন ভুলতে বসেছেন সেইসব খেলার নাম। গ্রামবাংলার চিরচেনা খেলাধুলার মধ্যে যেসব খেলা হারিয়ে গেছে তারমধ্যে ডাংগুলি, গোল্লাছুট, গোশত তোলা, কুতকুত, হাড়িভাঙা, পাতা আনো, বৌছি, দড়ির লাফ, চেয়ার সিটিং, রুমাল চুরি, বালিশ বদল, কানামাছি, ওপেন্টি বায়োস্কোপ, এলাটিং বেলাটিং, ইচিং বিচিং, হা-ডু-ডু, কাবাডি, দাঁড়িয়াবান্ধা, নোনতা বলরে, কপাল টোকা, চোর ডাকাত, মার্বেল, সাতচাড়া, ষোলগুড্ডি, মোরগ লড়াই অন্যতম। হারিয়ে যাওয়া এসব খেলাধুলা এখন আর তেমন কোথাও চোখে পড়ে না। নতুন প্রজন্মের কাছে এগুলো এখন শুধুই গল্প। আবার নাম শুনে অনেকেই দম ফাটিয়ে হাসে। প্রবীণ ব্যক্তিদের মতে, গ্রামের এসব খেলার মধ্যে বউ-পুতুল, হা-ডু-ডু, ডাংগুলি, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট ও বৌছি ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। এসব খেলা চলাকালে মানুষের ঢল নামতো। কিন্তু এখন গ্রামের খোলা মাঠে এসব খেলা শুধুই স্মৃতি। একসময় এ দেশের ছেলে-মেয়েরা গ্রামীণ খেলাকে প্রধান খেলা হিসেবে জানতো। কিন্তু তার স্থান দখল করেছে লুডু, কেরাম, ক্রিকেট, টিভি ও কম্পিউটার। আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন গঠন করা দরকার। এতে করে আগামী প্রজন্ম আমাদের এসব খেলাকে জানতে পারবে। ভুলে যাবে না শত বছরের নিজস্ব ক্রীড়া ঐতিহ্য। একসময় গ্রামের শিশু-কিশোররা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলায় মেতে উঠতো। বিকেলে খোলা মাঠে দলবেঁধে খেলত সবাই। শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে থাকতো ছেলে-মেয়ের দল। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে কেড়ে নিয়েছে, তেমনি প্রজন্মকে ক্রমেই ঠেলে দিচ্ছে মাদকের দিকে। ফলে ভবিষ্যত বাংলাদেশ হচ্ছে মেধাশূণ্য। তাই মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে প্রজন্মকে রক্ষা করতে ও গ্রামীণ খেলাকে বাঁচাতে এদেশের সচেতন ব্যক্তিরা ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাছাড়া সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগেও ফিরিয়ে আনা সম্ভব এসব খেলার হারানো ঐতিহ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LatestNews
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It
error: Content is protected !!