নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবান” এই নামটি যেন সবার কাছে চেনা জানা। আবার অনেকেই কাছে মনে হয় এটি পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন সেরা হিল কুইন । যেখানে হাতছানি দিয়ে আছে নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলা,শৈলপ্রপাত,এমনকি চিম্বুকে পাহাড়ের সাথে মেঘের খেলা, আবার কোন কোন গহীন জঙ্গলে টিপ টিপ করে পড়ছে পাহাড়ের পানি ঝর্ণা। এমন মায়াবিনী লোকালয় কে বা আসতে না চাই। পর্যটকরা এক পলক দেখার জন্য ছুটে আছে বিভিন্ন লোকালয় থেকে। তবে মহামারি করোনা ভাইরাস সব কিছু কেড়ে নেওয়াই থমথমে পুরো বিশ্ব। বন্ধ হয়ে যায় হোটেল, রিসোর্ট এমনকি পর্যটন সহ ইত্যাদি।
এরই প্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত ৫ মা পর খুলে দিচ্ছে পার্বত্য জেলায় পাহাড়ের জনপদ ও পর্যটন কেন্দ্র। টানা পাঁচ মাসবন্ধ থাকার পর উন্মুক্ত হলো বান্দরবানের সকল পর্যটন কেন্দ্র। সকাল থেকেই বান্দরবানে মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক নীলগীরিসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য খুলে দেয় প্রশাসন ।
পর্যটনে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। এর আগেও বিভিন্ন স্থান থেকে জমাট হতে শুরু করেছে পর্যটকরা। কেউ পরিবার নিয়ে,কেউ আবার বাইকে করে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসছে শৈলপ্রপাত,চিম্বুক ও বিভিন্ন গহীন জঙ্গলে ঝর্ণাতে।
এইদিকে পর্যটন খোলা নিয়ে সরকার হতে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে পর্যটন যেতে পারবে। পর্যটনে অর্ধেক ট্যুরিষ্ট জন্য নিশ্চিত করে হবে। হোটেল, রিসোর্ট তে অর্ধেক ট্যুরিষ্ট থাকতে পারবে। সকল পর্যটকে মাস্ক পরিধানে নিশ্চিত করতে হবে।
মেঘলা পর্যটক কেন্দ্রে আসা পর্যটক সোহেল জানান, অনেকদিন পর পর্যটন খুলেছে। লকডাউনে কারণে বাসায় বিরক্তিবোধে অবস্থায় ছিলাম। আজ পর্যটন খুলেছে তাই হাতে দু দিন ছুটি আছে বিধায় পরিবারসহ ঘুরতে এসেছি। বেশ ভালো লাগছে।
নিলাচলে ঘুরতে আসা পর্যটক শাপলা আক্তার জানান, অনেক দিন পর বন্ধুদের সাথে এসে বেশ ভালো লাগছে। আবাহাওয়াগুলো বেশ দারুণ। এমনকি মেঘের খেলা দেখার জন্য এইখানে এসেছি। আর বিভিন্ন ঝর্ণাতে গিয়ে আনন্দ করার জন্য আসছি।
নিলাচল ও মেঘলা টিকেট কাউন্টার থাকা দায়িত্বরত জানান, ৫ মাস পর পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দিয়েছে। যতদিন বন্ধ ছিল ততদিন ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছি। এখন সরকার পর্যটন খুলে দেওয়াই বিভিন্ন স্থান গুলো পরিচর্যা করে পরিষ্কার করে ফেলেছি। তবে আজ প্রথম দিনে পর্যটন তেমন হয়নি হাতে ঘুনে ধরলে ১৫০ হতে ২০০ জন এসেছে।
বান্দরবান ট্যুরিষ্ট পুলিশ উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, পর্যটন খুলে দেওয়াই আমরা সব পর্যটিন স্থানে ভিজিট করেছি। বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙখলা বাহিনীকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসন তথ্যনুযায়ী হোটেল রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে ৫০% অধিক রাখা যাবে নাহ। এমনকি হোটেলগুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিগত ৫ মাস পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো উন্মুক্ত করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হয়েছে। পর্যটন খুলে দেওয়ায় আমরা খুশি। দীর্ঘদিন পরে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আবার নতুনভাবে কাজে নেমেছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ এপ্রিল থেকে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন, আর গণবিজ্ঞপ্তি জারির পরপরই বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ পাঁচ আবার উন্মুক্ত হলো।