নিজস্ব প্রতিবেদন: সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ, বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের স্রষ্টা ও নিয়ন্তা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব আগামীকাল সোমবার শুরু হচ্ছে। আগামীকাল জন্মাষ্টমীর শুভ অধিবাস। অধর্ম, পাপাচার ও পেশী শক্তির রাহুগ্রাস থেকে পৃথিবীকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপনের উদ্দেশ্যে দ্বাপর যুগে ধুলায় আচ্ছাদিত ভু-মন্ডলে নিরাকার ব্রহ্মের সাকার মূর্তিরূপে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরা নগরে মামা কংসের কারাগারে। পিতা বসুদেব, মাতা দেবকী ছিলেন তারই মামা কংসের কারাগারে দীর্ঘদিন অন্তরীণ। কংস তার পিতা উগ্রসেনকে সিংহাসন চ্যুত করে মথুরার রাজা হয়েছিলেন। তার অত্যাচারে জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। রাজ্যের সর্বত্র ছিল অশান্তি আর অশান্তি। এ সংকটময় মুহূর্তে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম। জন্মেছিলেন তিনি রাজ্যের রাজপ্রাসাদে নয়, ভিখারির পর্ণ কুটিরেও নয়, মাতুল কংসের প্রাসাদে দূর্ভেদ্য কারাকক্ষে। বসুদেবের পুত্র বলে তার অপর নাম বাসুদেব।
মামা কংস, শিশুপালসহ অসুরদের বধ করে পাপাচারক্লিষ্ট সমাজকে শ্রীকৃষ্ণ রক্ষা করেন ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে। কুরুক্ষেত্রের ধর্মযুদ্ধে ধর্মের পক্ষে থেকে দুর্যোধনাদি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে পালন করেন ঐতিহাসিক গুরুদায়িত্ব।
শ্রীকৃষ্ণের জীবন ও কর্ম, সত্য সুন্দর ও ন্যায়ের পথে অবিনাশী অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তার মুখ নিসৃত বাণী শ্রী শ্রী গীতা বিশ্বমানবতার মুক্তি কর্ম-জ্ঞান ও বৈরাগ্যের সর্বোৎকৃষ্ট পাথেয়। পার্থ সারথী শ্রীকৃষ্ণ সনাতন ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ। আগামীকাল তার জন্মতিথি। প্রতিটি হিন্দুগৃহে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিবেন বলে জানা গিয়েছে। আগামীকাল সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে দিবসটি উপলক্ষে প্রায় সকলস্থানে সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানসূচীতে রয়েছে আগামীকাল শুভ অধিবাস। আগামীকাল পূজার্চ্চনা, ধর্মসভা, সদগ্রন্থাদি পাঠ ইত্যাদি। তবে অনেক স্থানে আগামীকাল পূজার্চ্চনা, ধর্মসভা, সদগ্রন্থাদি পাঠ অনুষ্ঠিত হবে।