আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ৪৮নং ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে পল্লী বিদ্যুতের তারের উপর বিশাল আকৃতির মরা শিশু গাছের ডালপালাসহ বড় একটি অংশ থাকায় পথচারীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় পথচারী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপর দুর্ঘটনা নেমে আসার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, আশাশুনি টু বড়দল সড়কের পাশে বিদ্যালয়ের মেইন গেট ও সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে চালু আছে পল্লী বিদ্যুত সমিতির হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের লাইন। এ বিদ্যুৎ লাইনের পাশে দীর্ঘদিন মরে যাওয়া শুকনো শিশু (চটকা) গাছের বড় বড় ডালসহ তিনটি মরা গাছ তারের উপর হেলে আছে।
ঝড়বৃষ্টি বা বাতাসের চাপে কিংবা স্বাভাবিক ভাবে যেকোনো সময় গাছ বা গাছের বড় ডাল পড়ে গেলে ঘটতে পারে মারাত্মক বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা। স্কুলের দুইশত ফুট দূরে রয়েছে পল্লী বৈদ্যুতের ৩৩ কেভি উপকেন্দ্র। সামনে স্কুল খুললে স্কুলের শিক্ষক, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা থাকবে সেখানে। এছাড়াও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে।
বর্তমানে তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এবিষয়ে ফকরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিতা মন্ডল জানান, হয়তো খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয় পড়াশোনার জন্য সরকার খুলে দেবে। তার আগেই এই ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কর্তন না করলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আমরা আতঙ্কে আছি। এব্যাপারে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, স্থানীয় সচেতন মহল ও পথচারীরা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।