স্টাফ রিপোর্টার: হঠাৎ করেই বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তামিম ইকবাল জানিয়ে দেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিদ্ধান্ত। তার ঘণ্টা দুই পরেই শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
সিরিজ ছাপিয়ে তামিমের বিশ্বকাপ না খেলার সিদ্ধান্তটাই ছিল সবার মুখে। খবরের পাতা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সর্বত্বই ছিলেন তামিম। বাদ যাননি তামিমের সতীর্থ সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। সম্মান জানিয়েছেন তামিমের সাহসী সিদ্ধান্তকে। এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
“নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সেরা একজন ব্যাটসম্যান স্ট্যাটসও তাই বলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সব যোগ্যতা তার আছে, ক্রিকেট বোর্ড টিম ম্যানেজম্যান্ট সবাই তাকে টিমে রাখবে এটা সবারই জানা। কেন তামিম এ সিদ্ধান্ত নিলো তার যুক্তিও আছে অনেক। প্রথম হলো তামিমের ইনজুরি,তারপর প্রায় এই দিয়ে চারটা সিরিজ সে খেলতে পারিনি তার মানে প্রায় ১৬টা ম্যাচ ,এতে করে হঠাৎ কোনো ম্যাচ না খেলে মাঠে নামার পর নিজের উপর নিজের বিশাল চাপ সৃষ্টি হবে।
যা পরে ওর ওয়ানডে বা টেস্টে ওকে ক্যারি করতে হতে পারে। কথা হলো এখন যারা খেলছে তারা তো রান করেনি,আবার সেখানেও কথা আছে, যে উইকেটে খেলা হচ্ছে সেখানে রিয়াদ ছাড়া আর কোনো দলের খেলোয়াড়ই পঞ্চাশ ছুতে পারেনি। ট্রু ইউকেটে বিচার না করা একেবারেই অন্যায় হবে সৌম্য, লিটন বা নাঈমের সাথে। সমস্ত কঠিন সিরিজ গুলো সত্যিই এই ছেলে গুলো পার করছে।
তামিমের সিদ্ধান্তকে বিচার করা খুব কঠিন কাজ না পুরোটাই পজিটিভ ভাবে দেখলে সেটা হলো, প্রথমত এটা একান্তই তামিমের সিদ্ধান্ত, এরপর সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা ছিলো তামিম সব সময় ড্রেসিং রুমে ওয়েলকামিং পারসন কিন্তু ১৬টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা কোনো প্র্যাকটিস ম্যাচ ছাড়া এবার সে কতটুকু ওয়েলকামিং হতো তা হয়তো তাকে ভাবিয়েছে।
আর কেউ না বুঝুক তামিম নিজেও জানে এখন ব্যাটসম্যানরা কেমন উইকেটে ব্যাটিং করছে যেখানে তাদের ভুল থাকলেও তাদের খুব বেশি কিছু করার নাই।
আজকের ইউকেট তো অস্ট্রেলিয়ার সময়ের ইউকেট থেকেও ভয়ানক স্লো। এর পর কি অপেক্ষা করছে কে জানে। আর এতোকিছুর পরও তামিমকে দলে ঢুকার জন্য কারও খারাপ খেলার প্রয়োজনও নাই এটা সবারই জানা কারন, স্পিপিলি তামিম দলের সেরা ব্যাটসম্যান দের একজন।
তাই আমার কাছে মনে হয়েছে তামিম তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজে ভেবেই নিয়েছে যেটাকে সম্মান জানানো উচিত।
টপ অর্ডারের অস্থিরতাও হয়তো কিছুটা কমবে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো, কোনো কোনো সিদ্ধান্ত মানুষের জীবন পাল্টে দেয়। আমার কাছে মনে হয় এই সিদ্ধান্তের কারনে তামিম যখন ওয়ানডের নেক্সট ম্যাচেই ক্যাপটেন হিসাবে মাঠে নামবে এই ছেলে গুলো ওর জন্য জীবন বাজি রেখে খেলবে কারন, কেউ করুক আর না করুক তামিম নিজেই এই ছেলে গুলোর হার্ডওয়ার্ককে প্রপার জাস্টিফাই করেছে।
আর তামিম স্টিল দ্যা বেস্ট এন্ড উইল বি রিমেইন ইনশাল্লাহ। এই ফরম্যাটে জোর করে খেলে অবশ্যই টেস্ট, ওয়ানডের সেরা ব্যাটসম্যানকে আপসেট কেউ দেখতে চাইবে না। তামিমের এখনও অনেক ম্যাচ জেতানোর বাকি আছে। ইউ বিঊটি খান, উইল বি মিস ইউ ইন ওয়াল্ডকাপ।
গতকাল বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জিতেছে একরকম নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই। এভাবে উড়াতে থাকো বন্ধুরা।