আনোয়ারা প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাসুম (১৯)’র রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
রবিবার (৩ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে উপজেলার ৮নং চাতরী ইউনিয়নের ইছামতি ব্রীজের উত্তর পাশের বাঁশ ঝাড় থেকে মাসুমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মাসুমের বাড়ি উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডে (মোঃ নসিমের বাড়ি)। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের (হাজী মোস্তাক কলোনী)তে ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে পুলিশ লাশের সুরত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত দেড় টার দিকে খবর পেয়ে ইছামতী উত্তর পাশের বাঁশঝাড় থেকে মাসুমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মাসুম আনোয়ারা সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন পুলিশ।
এদিকে নিহত মাসুমের পিতা ইউসুফ তার ছেলের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড দাবি করে বলেন, আমার ছেলের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে গলায় ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলের সাথে এলাকার সাগর মেম্বারের ছেলে দীপ্ত দত্তের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বও রয়েছে।
সে আরো জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাসুমকে ব্যানার টাঙ্গানোর কথা বলে আমার ছেলেকে মোটরসাইকেলের পিছনে করে নিয়ে যায় দীপ্ত দত্ত। তার পরই আমার ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাই। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রতক্ষ্যদর্শী ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার বলেন, রাত ১০:৪৫ দিকে সাগর মেম্বারের ছেলে দীপ্ত দত্ত আমার দোকান থেকে পূজার ব্যানার লাগানোর কথা বলে প্লাস্টিক কিনে নিয়ে যায়। মাসুম ও সাথে ছিলো দীপ্তর মোটরসাইকেলের পিছনে। সকালে শুনি মাসুম মারা গেছে।
এবিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, খবর পেয়ে রাতে লাশটি উদ্ধার করেছি। ধারণা করা হচ্ছে সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। বিষয়টি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।