রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর বাঘায় বিদ্যালয়ের দরজা ভেঙ্গে পড়ে রিয়া আক্তার(৭) নামে এক শিক্ষার্থী গুরতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চন্ডিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের রনজু ইসলামের মেয়ে এবং উক্ত বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর শীক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ওইদিন সকালে রিয়া বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় বিদ্যালয়ে প্রধান দরজা (লোহার তৈরী) ভেঙ্গে পড়ে তার নিচে চাপা পড়ে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর কান্না শুনতে পেয়ে পার্শবর্তী লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ স্বপ্না খাতুন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাঃ স্বপ্না বলেন, শিশুটির বাম চোখের সামান্য উপরে লোহার পাত ঢুকে মারাত্বক ক্ষত হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার সিটি স্ক্যানসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য (রামেকে) পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে রিয়ার পিতার অভিযোগ,বিদ্যালয়ে প্রবেশের লোহার তৈরী দরজাটি দির্ঘদিন থেকে ঝুকিপুর্ন ছিল। দরজাটির ওয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত তিনটি ক্লাম্বের মধ্যে দুটি ক্লাম্ব প্রায় পাঁচ মাস পূর্বে ভেঙ্গে গেছে। শুধুমাত্র উপরের ক্লাম্বটির সাহায্যে দরজাটি ওয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা বারংবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও তারা বিষয়টি কর্নপাত করেনি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) শাহিনা আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দরজাটি মিস্ত্রি না পাওয়ায় মেরামত করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনাকবলিত শিশুর সঙ্গে আমি রামেক হাসপাতালে আছি। সে বর্তমার্নে অনেকটা সুস্থ আছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মির মামুনুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমাদের পক্ষ থেকে সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিনকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।