বিশেষ প্রতিনিধি: শনিবার নভেম্বর ২০/১১/২০২১ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান-এর ৫৬তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৯৬৫-এর এই দিনে তিনি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার অমর ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ও মাদার অব ডেমোক্রেসি, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান।
২০০৮ থেকে তিনি চিকিৎসার্থে লন্ডনে পরিবারসহ বাস করছেন।
তারেক রহমান বিভিন্ন পর্যায়ে ঢাকা রেসিডেন্টসিয়াল মডেল স্কুল, সেন্ট জোসেফ স্কুল, ঢাকা রেসিডেন্টশিয়াল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন।
তিনি ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮, থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তিনি দলের সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। দলের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে কাউন্সিলরগণ তাঁর উপর এই দায়িত্ব অর্পন করেন। এর আগে ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। দলের জাতীয় স্থায়ীকমিটি ২০০২-এ তাঁকে এই দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বিএনপি, বগুড়া ইউনিট-এ প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন, যার মধ্যদিয়ে তিনি রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত হন।
৮০’র দশকে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণআন্দোলনে ছাত্রাবস্থায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জুলাই মাসে মা বেগম খালেদা জিয়া, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোসহ পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বন্দি ছিলেন তিনি। তাঁর পিতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধ্ব বিদ্রোহ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করায় এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১, বিজয় দিবসে তিনি পরিবারসহ মুক্তি লাভ করেন।
১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১-এর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র প্রচারণার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী সন্ত্রাস ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
২০০২ এ সারাদেশে ‘ইউনিয়ন তৃণমূল প্রতিনিধি সভা’ সংগঠিত করে তাঁর সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দক্ষতার অসামান্য সাক্ষর রাখেন।
এক এগারোর অবৈধ সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে, চক্রান্তমূলক মামলা দায়ের করে। তাঁর প্রতি করা হয়েছিল নির্মম আচরণ।
উচ্চ আদালতের আদেশে ২০০৮ সালে তিনি চিকিৎসার্থে লন্ডন যান।
নব্বই দশকের শুরুতে তিনি সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ও বিশিষ্ট সমাজ হিতৈষী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু দম্পতির ছোট সন্তান বিশিষ্ট চিকিৎসক জুবায়দা রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জায়মা রহমান একজন আইনজীবী।
ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার হারা বাংলাদেশিদের সামগ্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে তিনি ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।