নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর থানা পুলিশের সহায়তায় বিপদমুক্ত ভাবে জন্ম নিয়েছে এক ফুটফুটে শিশু। ওই শিশুর জন্ম হয় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায়। জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকায় প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন সন্তানসম্ভবা মিম আক্তার (২০)।
রাস্তায় নেই কোনো যানবাহন এবং সহায়তা করার মতো কেউ না থাকায় কোনো কুল-কিনারা পাচ্ছিলেন না স্বামী মিজানুর রহমান।
সেই সময় অদ্ভুতভাবে হাজির হয় নীলফামারী সদর থানা পুলিশের একটি টিম। দিশেহারা স্বামী মিজানুর রহমান ফিরে পেলেন স্বস্তি। পুলিশের মহানুভবতায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মিম আক্তার জন্ম দেয় ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান।
সুস্থ্ রয়েছেন মা ও নবজাতক দুজনই। মধ্যরাতে পুলিশের বিশেষ এই সেবায় কৃতজ্ঞ নবজাতকের বাবা মিজানুর রহমান। বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে জেলা সদরের হাজীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মাহবুবা মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে মা ও নবজাতককে দেখে আসে থানা পুলিশের একটি টিম।
কথা হলে মিজানুর রহমান পুলিশের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ খবর নিয়ে রাতে সিজারের ব্যবস্থা করতে পারিনি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক রাত। বাড়ি ফেরার জন্য এক পর্যায়ে শহরের গাছবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেই। কিন্তু কোনো যানবাহন ছিল না। হঠাৎ করে আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। আমি তো নিরাশ হয়ে গেছিলাম কি করবো কিছু ভেবে উঠতে পারছিলাম না। এমন সময় মনে হয় আল্লাহর পাঠানো দূত হয়ে আসলো পুলিশ। যার কারণে আজ আমি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জনক হলাম। আমি চির কৃতজ্ঞ পুলিশের প্রতি।
নিয়েছে এক ফুটফু কোনো কুল-কিনারা পাচ্ হাসপাতালে রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মিম আক্তার জন্ম দেয় ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান। সুস্থ্ রয়েছেন মা ও নবজাতক দুজনই। মধ্যরাতে পুলিশের বিশেষ এই সেবায় কৃতজ্ঞ নবজাতকের বাবা মিজানুর রহমান।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে জেলা সদরের হাজীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মাহবুবা মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে মা ও নবজাতককে দেখে আসে থানা পুলিশের একটি টিম।
কথা হলে মিজানুর রহমান পুলিশের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ খবর নিয়ে রাতে সিজারের ব্যবস্থা করতে পারিনি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক রাত। বাড়ি ফেরার জন্য এক পর্যায়ে শহরের গাছবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেই। কিন্তু কোনো যানবাহন ছিল না। হঠাৎ করে আমার আমার স্ত্রী প্রসব বেদনা ওঠে। আমি তো নিরাশ হয়ে গেছিলাম কি করবো কিছু ভেবে উঠতে পারছিলাম না। এমন সময় মনে হয় আল্লাহর পাঠানো দূত হয়ে আসলো পুলিশ। যার কারণে আজ আমি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জনক হলাম। আমি চির কৃতজ্ঞ পুলিশের প্রতি।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের চাকধাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান স্ত্রী মিম আখতারের প্রসব বেদনা ওঠায় রাতে চওড়া থেকে নীলফামারী নিয়ে আসেন। মিজানুর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ খবর নিয়ে রাতে সিজারের ব্যবস্থা করতে না পারায় এক পর্যায়ে শহরের গাছবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেন সাথে আসা আরো চারজন নারীকে নিয়ে। এসময় প্রসব বেদনায় কাতর মিম।
সে সময়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শেষে থানায় ফেরার পথে তাদের দেখে ও মিমের প্রসব বেদনার আহাজারি শুনে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন পুলিশ টিমের প্রধান নীলফামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী। থানার মোবাইল টিমকে ঘটনাস্থলে আসতে বলা হলে দায়িত্বরত অফিসার অলোকান্ত রায়ের সহযোগিতায় পুলিশের গাড়িতেই সন্তান সম্ভবা মাকে নেওয়া হয় মাহবুবা মেমোরিয়াল হাসপাতালে। রাতেই সম্পন্ন হয় মিম আখতারের সিজার। মিজানুর-মিমের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক শিশু।
নীলফামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী জানান, কয়েকজন অফিসার মিলে বিশেষ অভিযান শেষে ফেরার পথে আমরা এক মহিলার আহাজারি শুনে দাড়াই এবং তাদের কথা শুনি। সে সময়ে সুনসান নিরবতা আর যানবাহন বিহীন রাতে কাক পাখিও ছিলো না। এককে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এ সময়ে তাদের সাথে থাকা এক মহিলা মাহবুবা মেমোরিয়াল হাসপাতালে আত্মীয় রয়েছে জানালে দ্রুত তার সাথে যোগাযোগ করে পুলিশের গাড়িতেই তাদের নিয়ে সেখানে পৌঁছানো হয় এবং পুলিশ সদস্যরা সিজার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেন। এরই মধ্যে রক্তের প্রয়োজনীয়তাও সম্পন্ন করে ফেলি কিন্তু সেটি প্রয়োজন হয়নি। জন্ম নেয় ফুটফুটে সন্তান। আমাদের সবার মধ্যেই কাজ করলো এক ধরনের স্বস্তি, যা বলে বোঝানোর মতো না। এ কাজটি করতে পেরে আমরা গর্বিত পুলিশ সদস্যরা। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ শ্লোগানটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।