ষ্টাফ রিপোটার: জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূল অঞ্চলে বেড়েছে লবণাক্ততা। একই সাথে নদীর নাব্যতা হারিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে সুপেয় মিঠা পানির আধার টিউবওয়ল ও পুকুরের পানি নষ্ট হওয়ায় বেড়েছে সুপেয় পানির সংকট।
উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রায় সুপেয় পানির সংকট মেটাতে এলজি অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে এলজি ইলেকট্রনিক বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ এর অর্থায়নে ও ট্রাই ডিজিটালের পর্যবেক্ষণে এলজি অ্যামম্বেসেডর চ্যালেঞ্জ ২০২১ ফান্ডের আওতায় (আই.সি.ডি) ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট এর বাস্তবায়নে দশটি গ্রামে ১০ টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে প্রায় ১ হাজার মানুষের সুপের পানির ব্যাবস্থা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে টিউবওয়েল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আই.সি.ডির প্রতিষ্ঠাতা এলজি অ্যাম্বেসেডর আশিকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রডাক্ট ম্যানেজার (বি-টু-বি ডিসপ্লে সল্যুশন) এলজি ইলেকট্রনিক বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ রবিউল আউয়াল, মান্যবর অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ট্রাই ডিজিটাল) টেকনোলজি লিমিটেড বাংলাদেশ জেনারেলের ম্যানেজার মইনুল ইসলাম খাঁন, উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, উপজেলা তথ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ইসকিতা আফরিন, উপজেলা লেডিস্ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা বিপাশা বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম হুমায়ুন কবির, সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম, আই.সি.ডির উপদেষ্টা আছাপুর রহমান, আই.সি.ডির সদস্য সহ সেচ্ছাসেবক বৃন্দ।
উল্লেখ্য উপকূল অঞ্চলে সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে আই.সি.ডি এর প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান এলজি অ্যাম্বসেডর চ্যালেঞ্জিং আবেদন করলে ২৫ নভেম্বর ২০২১ এলজি অ্যাম্বেসেডর নির্বাচিত হয়। এর আগে উপকূলে বাঘ বিধবাদের সাবলম্বী করতে ১ মাস দর্জি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৩০ জন বাঘ বিধবা নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন ২০১৯ সালে। বনজীবি মুন্ডা সম্প্রদায়ের সাবলম্বী করতে ৩০ জন মুন্ডা নারীদের মাঝে নৌকা বিতরন করেন। এনিয়ে টানা তৃতীয় বার তিনি এলজি অ্যাম্বেসেডর নির্বাচিত হয়েছেন।