আনোয়ারা প্রতিনিধি: সংঘর্ষ, হামলা, খুন, জাল ভোট, কেন্দ্র দখলসহ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে পঞ্চম ধাপে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এসব ইউনিয়ন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে উপজেলায় চাতরী ইউনিয়নে সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন। এদিকে ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পাশাপাশি একজন বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন,
কাইয়ূম শাহ্ (নৌকা) প্রাপ্ত ভোট ১১,৩৬০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল হক চৌধুরী (আনারস) পান ২৫৩৪ ভোট। রায়পুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আমিন শরীফ (ঘোড়া) ৭৩৭১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জানে আলম (নৌকা) পান ৪৭৫৫ ভোট। ফজলুল কাদের চৌধুরী (মোটরসাইকেল) ৪১২৯ ভোট। বরুমচড়া ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল ইসলাম (নৌকা) ৪৫২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদত হোসেন চৌধুরী (সিএনজি) ৩৪৭৪ ভোট। আবুল বশর (আনারস) ৩৩২৫ ভোট। আনোয়ারা সদর ইউনিয়নে অসীম কুমার দেব (নৌকা) ৪০৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিদারুল ইসলাম চৌধুরী টিপু (মোটরসাইকেল) ২২৪৯ ভোট। পরৈকোড়া ইউনিয়নে মামুনুর রশিদ চৌধুরী আশরাফ (নৌকা) ৮৯০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজিম উদ্দিন (মোটরসাইকেল) ১৭৫৮ ভোট। হাইলধর ইউনিয়নে কলিম উদ্দিন (নৌকা) ৯৯৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সোলেমান (আনারস) পান ১৬৭১ ভোট ও আবু তাহের (চশমা) পান ১৫৪৪ ভোট।
এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, বৈরাগ ইউনিয়নের নোয়াব আলী, চাতরী ইউনিয়নে আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, বারখাইনের হাসনাইন জলিল চৌধুরী শাকিল।
আইনি জটিলতার কারণে বটতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিন স্থগিত করা হয়েছে।