খুলনা ব্যুরো: আর্শিদশকের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কয়রা উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী।
অতিতের ৮০ দশকের অবহেলিত দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক,কষ্টে অভিমানে,ঘরে বসে থাকা, অবহেলিত,গরীব দুঃখী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠার জন্য অনুরোধ করছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কয়রা উপজেলা শাখার দীর্ঘদিনের ত্যাগী বর্ষীয়ান নেতা কৃষ্ণ পদ মন্ডল,শিক্ষক রামপাল বাহাদুর,শিক্ষক সুপদ রায়,
বাগালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কবি দাস বাহাদুর জানান রাত নেই দিন নেই আমাদের সেক্রেটারি সাহেব আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন তার এই মাহতি উদ্যোগ আমাদের উৎসাহিত করার জন্য শুভকামনা রইলো,
এভাবে এর আগে কেউ কখনও খোঁজ নেয়নি।আমরা স্বাগত জানাচ্ছি তার এই মহান উদ্যোগকে।

৮০ দশকের আওয়ামী লীগ কর্মী কৃষ্ণপদ মন্ডল (৮০)বলেন বয়স অনেক হয়ে গেছে ভেবেছিলাম হয়তো উপজেলা আওয়ামী লীগের বড় ধরনের কোনো নেতাদের সাথে আমার আর দেখা হবে না। হঠাৎ দেখি কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী আমার বাড়িতে এসে আমার বসার মাদুরীতে এসে বসেছে, আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে দাদু আপনি আমাদেরকে দোয়া ও আশীর্বাদ করে দিন।এই কথা শুনে আমিও তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকি,আমার বাড়ির পাশের লোকজন একত্রিত হয়ে গেল বলল আওয়ামী লীগের ভীতরে এত একতা মিল মহব্বত যা আগে কখনো আমরা জানতাম না।আমাদেরকে আপনাদের দলে নিন।

কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গরীব, দুখী, মেহনতী মানুষের বন্ধু সাংবাদিক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী বলেন, পদ-পদবী আশায় রাজনীতি করি না, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে কয়রা উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে রাত দিন ঘুরে ঘুরে প্রবীণ নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছি তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি মানুষের বাড়িতে গিয়ে ছেলে মেয়েরা বলে শেখ হাসিনার সরকার আমাদেরকে নতুন বই দিয়েছে অভিভাবকরা বলে আওয়ামী লীগ সরকার যদি আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে বিনামূল্যে বই না দিত তাহলে আমাদের ছেলে মেয়ে লেখাপড়া শিখতে পারতো না একথা শুনে আমার বুকটা আনন্দে গর্বে ভরে ওঠে।