খুলনা ব্যুরো: খুলনার কয়রায় যুব সমাজকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করছে আই.টি. স্কুল ও যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র।
কয়রার মানুষদের তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়াড প্রাপ্ত সংগঠন “মানব কল্যাণ ইউনিট” পরিচালিত কয়রা আইটি স্কুল ও যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র। যুব সমাজকে দক্ষ ও বেকার সমস্যার সমাধান করার লক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসা আল আমিন ফরহাদ নামের এক কিশোর এসএসসি পরীক্ষা পরবর্তী অবসর সময়ে ফলপ্রার্থী বন্ধুদের নিয়ে ২০০৮ সালে গড়ে তোলেন মানব কল্যাণ ইউনিট নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন । সংগঠনটি আত্মপ্রকাশের পর বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে অদ্যবধি কাজ করে চলেছে।
এ জনপদের তরুণদের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে আইটি স্কুল ও যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্টার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০১০ সালে ছোট পরিসরে কয়রা সদরে সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলটির যাত্রা শুরু হয়। উদ্যোগটিকে এগিয়ে নিতে ২০১৮ বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ “শেখ রাসেল প্রতিবন্ধী ও শিশু উন্নয়ন প্রকল্পে”র মাধ্যমে কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ ক্রয় করার জন্য ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও কয়রা –পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর একান্ত প্রচেষ্টায় অতিরিক্তি বরাদ্ধ থেকে “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রাপ্ত হয়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে স্কুলটির খরচ বহন ও সেচ্ছশ্রম দিয়ে যাচ্ছে মানব কল্যাণ ইউনিটের কর্মীরা। বর্তমানে এ প্রতিষ্টান থেকে ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষন নিচ্ছেন ৬৫ জন শিশু,১৮ জন প্রতিবন্ধী,৫৮ জন তরুন-তরুনী ও ১০৩ জন বেকার যুবক-যুবতী সহ অন্যান্য পেশায় ১৩ জন।
আইটি স্কুলটি শিশুদের জন্য মজার কম্পিউটার ক্লাস ১-৫ পর্যন্ত, তরুনদের জন্য বিশেষ ৯টি প্রোগ্রাম, প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য সকল বয়সীদের জন্য তাদের সুবিধা ও চাহিদামত প্রশিক্ষন ও বেকারদের জন্য ‘স্মাট ক্যারিয়ার” কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মানব কল্যাণ ইউনিটের প্রতিষ্টাতা সভাপতি আল আমিন ফরহাদ জানান, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি একটি শিশুকে ছোটবেলা থেকে দশম শ্রেনীর মধ্যে ১০ টি প্রোগ্রামে প্রশিক্ষন দিয়ে কর্মে সংযুক্ত করা এবং তাকে নীতি নৈতিকতা প্রশিক্ষনের মাধ্যমে একজন স্মাট তরুন তৈরী করা। এছাড়া ভবিষ্যতে একটি অত্যাধুনিক আইটি ফার্ম করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে আধুনিক পদ্ধতিতে বেকারদের বিভিন্ন আইটি সেক্টরে ফ্রি প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ ও স্বনির্ভর করে গোড়ে তোলা হবে। পরিকল্পনা গুলি বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারী ভাবে পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন।
কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, মানব কল্যাণ ইউনিট পরিচালিত আইটি স্কুল তথ্য প্রযুক্তিতে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে। সংগঠনটি দীর্ঘদিন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন,আগামী প্রজম্মের তরুন-তরুনদের আধুনিক প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা ও সুস্থ্য নেতৃত্বের বিকাশ সাধনের মাধ্যমে কয়রাকে এগিয়ে নিতে হবে।