খুলনা ব্যুরো: এ যেন সন্তান হারানোর কষ্ট। কৃষ্ণপদ গোলদারের ৩ বিঘার তরমুজ ক্ষেতের সব তরমুজই নষ্ট করে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় এবার ক্ষেত বিক্রি করেছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ক্রেতার তরমুজ কর্তনের কথা ছিল। তবে তার আগের রাতেই সব শেষ। সোমবার ক্ষেতের সব তরমুজ লাঠির গুতায় নষ্ট করা হয়েছে। এ কেমন শত্রুতা! খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের উত্তর চন্নিরচক গ্রামের অভিমন্যু গোলদারের ছেলে কৃষ্ণপদ গোলদার (৬০) গত বারের ন্যায় এবারো এক একর জমিতে আবাদ করেছিলে তরমুজ। ফলনও বাম্পার হয়েছিল। তবে সোমবার রাতে কে বা কারা শত্রুতা করে তার ক্ষেতের সব তরমুজ নষ্ট করে দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ চাষী কৃষ্ণপদ হালদার সকালে খবর পেয়ে ক্ষেতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। সন্তান হারানোর ন্যায় শোকে ক্ষেতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
তিনি জানান, প্রতি বারের ন্যায় এবারা এক একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছিলেন তিনি। গত বার একই ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করেছিলেন সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায়। এবার একই ক্ষেত বিক্রি করেছেন ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায়। আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাপারীর তরমুজ কর্তনের কথা ছিল। তবে শেষ হয়ে গেছে তার সব স্বপ্ন।
প্রতিদিনের ন্যায় ভোরে ক্ষেতে গিয়ে দেখেন দূর্বৃত্তরা লাঠির গুতায় তার ক্ষেতের সব তরমুজ নষ্ট করে দিয়েছে।
এদিকে সব তরমুজ নষ্ট করায় তা বিক্রি করতে না পেরে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। তিনি কখনো কারো ক্ষতি করেননি অথচ তার এত বড় ক্ষতি করে কার লাভ হলো? ক্ষেতের উপর শুয়ে গড়াগড়িতে এমন হৃদয়গ্রাহী বিলাপ করছিলেন তিনি।
সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় নিপদ বৈদ্য, অরুণ বৈদ্য, কিংকর সরদারসহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা এমন দশায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।
এব্যাপারে আমাদি ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: ইসমাইল হোসেন বাবলু জানান, তিনি জরুরী কাজে বাইরে রয়েছেন। তবে ঘটনার ব্যাপারে তিনি শুনেছেন। সর্বশেষ এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।