খুলনা ব্যুরো: খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী গ্রামের জনাব আলী গাজী(৬০) ও তার পুত্র বাবু গাজী(২৮) দীর্ঘদিন ধরে বাসা ভাড়ার আড়ালে রমরমা দেহ ব্যবসা করে আসছিলো। বুধবার দিবাগত রাতে স্থানীয়রা হাতে নাতে দেহ ব্যবসাকারী এক মহিলা ও পুরুষকে ধরে ফেলে এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বাড়ির মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকালে জেনে বুঝে বলবেন বলে জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মী গাজী নজরুল ইসলামকে মিথ্যা কথা বলে ডেকে নিয়ে তাদের দোকানে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেন। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দোকানের মধ্যে আটকে রেখে গালিগালাজ ও ভবিষ্যতে তাদের কাজে বাধা দিলে হত্যা করে ফেলা হবে বলে জানান। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি সকালে আমার অফিস চলাকালীন অভিযুক্ত জনাব আলী গাজী স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ সরদার ডেকেছে বলে ডেকে নিয়ে যায়।
ইউপি সদস্য আজিজ সরদারের অফিস বন্ধ থাকায় জনাব আলী গাজী আমাকে তার নিজস্ব চায়ের দোকানে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে দোকানের দরজা বন্ধ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে মাদক চোরাকারবারী ও দেহ ব্যবসায়ী জনাব আলী গাজী ও তার পুত্র বাবু গাজী।
এ সময়ে আরও বলেন ভবিষৎ এ আমাদের কাজে বাধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলবো। দোকানের ভিতর অবস্থানকারী আবুল বাশার (৪৮), সিরাজুল ইসলাম(৩৪), আকরাম সরদার(৩০) ও জহুরুল গাজী (৩২), আমাকে মারতে উদ্দত হয়।
তাৎক্ষনিক ১নং আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল জানতে পেরে ইউপি সদস্য আজিজ সরদার কে পাঠিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ১নং আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল মুঠোফোনে বলেন তিনি খুলনাতে থাকায় ফোনে খবর টা পেয়ে তাৎক্ষনিকই স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সাংবাদিক কে উদ্ধার করি।
ইউপি সদস্য আজিজ সরদার বলেন তারা আমার নাম করে মিথ্যা ভাবে ডেকে নিয়ে আটকে রাখে সাংবাদিক নজরুল গাজীকে।
চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক প্রতাক্ষদর্শী জানান, দীর্ঘদিন ধরে জনাব গাজী ও তার ছেলে চায়ের দোকানে ও বাড়িতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহিলাদেরকে বাসা ভাড়া দেয়। এখন জানতে পারছি বাসা ভাড়ার নাম করে রমরমা দেহ ব্যবসায় মেতে উঠেছে। বুধবার দিনগত রাতে স্থানীয় মানুষ বহিরাগত এক পুরুষ ও ভাড়াটিয়া মহিলাকে হাতেনাতে আটক করে।
সেই ঘটনার সূত্র ধরে গতকাল সকালে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক গাজী নজরুল ইসলাম কে আটকে রেখে নির্যাতন করে। ইতি পুর্বে তাদের নামে থানায় মামলাও রয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে কয়রা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ এবিএম.এস দোহা জানান এব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং তদন্তকরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।