খুলনা ব্যুরো: খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মিনহাজুল ইসলাম পড়াশুনা করেন পাইকগাছা হরিঢালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে। তার কিডনী থলি থেকে প্রস্রাবের পাইলস ছিঁড়ে গেছে। সে কারনে প্রস্রাব বের হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫-৬ লক্ষাধিক টাকা।
এ দিকে মিনহাজুল ইসলাম খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার হরিদাশকাটি গ্রামের শেখ শফিকুল ইসলাম এর পুত্র।
হঠাৎ একদিন দেওয়ার চাপা পড়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন, বিভিন্ন ডাক্তারী পরিক্ষা শেষে প্রস্রাব এর রাস্তায় ব্যথা শুরু হয়। কে জানে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারাত্মক এই ব্যাধি।অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় তার কিডনী থলি থেকে প্রস্রাবের পাইলস ছিঁড়ে গেছে। তার কারনে প্রস্রাব বের হচ্ছে না তার জন্য একের পর এক চিকিৎসা চলছে তার। গত বছরে মিনহাজুল ইসলাম সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা র ডাক্তার হুমায়ূন কবির (অপু) অপারেশন করেন এবং প্রস্রাবের নাড়ির সাথে ক্যানল দিয়ে পেট ছিদ্র করে বাইরে প্রস্তাব এর রাস্তা বের করে দেয়। কিন্তূ মোঃ মিনহাজুল ইসলাম এর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এমতাবস্থায় তাকে ভারতের ভ্যালোরে যথাযত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে বলে প্রাথমিক ধারণা জানিয়েছেন ডাক্তাররা। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ৫ লক্ষ টাকার অধিক খরচ হবে। দীর্ঘ চিকিৎসায় বাবার ক্ষুদ্র আয়ের সংসারের সব শেষ। চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে না পেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম তার ট্রাক ড্রাইভার অসহায় বাবার। মানুষের কাছে এখন হাত পেতে ছেলের চিকিৎসা চালাচ্ছেন তিনি। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে মিনহাজুল ইসলাম এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায়। চিকিৎসার অর্থের জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছে সে।
মিনহাজুল ইসলাম এর মা নাছিমা বেগম জানান, তার একমাত্র ছেলে আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার স্বামীর সীমিত আয়ে সংসার চলে না তার পর সন্তানের চিকিৎসা করাবেন কি করে তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। উক্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
খুলনায় পাইকগাছা এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি তবে তিনি মিনহাজুল ইসলাম এর চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে ৫০ হাজার টাকা সহয়তা প্রদান করেছেন বলে জানান এই পরিবার তবে টাকা এখনো হাতে পাইনি তারা।
মিনহাজুল ইসলাম এর স্কুলের শিক্ষিকা মোছাঃ মিলি খাতুন সকলের কাছে তার এই মেধাবী ছাত্রের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
উক্ত বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল গফুর জানান এই পরিবারটি অতিব অসহায় তার ছেলেটির অবস্থা খুব খারাপ চিকিৎসা রা বলেছেন কলকাতায় চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যাবে। তিনি মিনহাজুল ইসলাম এর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সকলকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য অনুরোধ করেছেন। অসহায় পরিবার সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: নাছিমা বেগম (মা)
বিকাশ নাম্বার: ০১৭৩৫-২৭৬৫৯৯. ও
রকেট ও নগদ: ০১৯৩৭-৪৯৮৮৬৬.