পটুয়াখালী প্রতিনিধি: শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সাথে সোমবার যুক্ত হয়েছে জন্মাষ্টমীর বন্ধ। রোববারের একদিনের ছুটি নিয়ে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় চারদিনের লম্বা ভ্রমণে এসেছে পর্যটকরা। শুক্রবার শেষ বিকেলে কথা হয় বরিশালের ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক রফিকুল ইসলামের সাথে।তিনি জানালেন, স্ব-পরিবারে চারদিনের জন্য কুয়াকাটা এসেছেন। কুয়াকাটা সৈকত জুড়ে এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।
করোনা মহামারিতে প্রায় সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের যেন মিলন মেলা বসেছে। মুক্ত হাওয়ায় একটু নিঃস্বাস নিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দলে দলে ভ্রমণে এসেছে হাজার হাজার পর্যটক। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রান চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
গত (১১ আগস্ট) পর্যটন নগরী খুলে দেওয়ার পরপরই বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের আনাগোনা তেমন একটা ছিলোনা। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) থেকে কুয়াকাটা সৈকতে নানা বয়সি পর্যটকরা এসে ভীড় জমিয়েছে।
শুক্র ও শনিবার দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যোগ হয়েছে সোমবারের জন্মাষ্টমীর ছুটি।
তাই একটু অবকাশ যাপনের জন্য সমুদ্রের পারে ছুটে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের। হঠাৎ করে হাজারো পর্যটকদের আগমনে আবাসিক হোটেল মোটেল,ঝিনুক মার্কেট,খাবার হোটেলসহ পর্যটনমুখী ব্যবসায়িদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বেচাকেনার ধুম পরে গেছে।
বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতেও ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উত্তাল সমুদ্রে গোসল হৈ হুল্লোড় আর দৌড়ঝাপ করে আনন্দ উপভোগ করেছেন পর্যটকরা। দীর্ঘদিন ঘরবন্দী থাকার পর পর্যটন নগরী খুলে দেওয়ায় সমুদ্র সৈকতে এসে ঘরবন্দী মানুষগুলো যেন স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
কুয়াকাটা সৈকতে শুটকি ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, করোনা কালীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লোকসানের পাল্লা ভারী হয়েছিল। পর্যটকদের সমাগম বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি ও বেড়েছে। একই মন্তব্য করলেন সৈকতের ঝিনুক ব্যবসায়ী শাহিন খলিফা।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগত পর্যটকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। পর্যটকদের আগমন নিয়মিত থাকলে অচিরেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।