নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের অনিতা রায় নামে নবম শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রী দীর্ঘদিন যাবত হার্টের রোগে আক্রান্ত। অনিতার হার্টে বেশ কয়েকটি ছিদ্র হয়েছে। অর্থাভাবে অপারেশন করতে না পেরে দিনদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে মেয়েটি। মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আবারো জীবনের আলো ফিরিয়ে দিতে পারে অনিতার।
সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের সূবর্ণখুলি গ্রামের দিনমজুর ভাদু রায়ের মেয়ে অনিতা রায় স্থানীয় বারুণীর ডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। যে বয়সে বান্ধবীদের সাথে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে তাকে মৃত্যু যেন ধুঁকে ধুঁকে মারছে। দীর্ঘদিন যাবত অনিতা হৃদরোগে আক্রান্ত। দিনমজুর বাবা-মা প্রথমত রংপুরের ডাঃ আবু জাহিদ বসুনিয়া (হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক কার্ডিওলজি বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) কাছে অনিতার চিকিৎসা চালায়। কিছুদিন ডাক্তারে পরামর্শে ঔষধ খাওয়ার পর সে সুস্থ ছিলো। কয়েকমাস পর আবার অনিতার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
তারপর তার পরিবার হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস কে সেন (এক্স- আবাসিক ফিজিশিয়ান, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দিনাজপুর) কাছে নিয়ে যায় সেখানে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানতে পারে অনিতার হার্টে বেশ কয়েকটি ছিদ্র হয়েছে, যা অপারেশন না করলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না। অপারেশন করতে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন। যা দিনমজুর বাবার পক্ষে অপারেশন করা সামর্থের বাইরে।ফলে অর্থাভাবে থমকে পড়ছে অনিতার চিকিৎসা।
শোকের ছায়া নেমেছে ভাদু রায়ের পরিবারে, অর্থাভাবে অপারেশন করতে না পারায় দিনকে দিন মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে সেটা দেখে কাঁদা ছাঁড়া কোন উপায় নেই অনিতার মা আকলি রানীর।
অনিতার বাবা দিনমজুর ভাদু রায়,অনিতার সুচিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন।
অনিতার বাবার মোবাইল নম্বরঃ ‘ 01818508205 ‘